সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ভারতে দারিদ্র্যতা (Poverty in India) ভারতে দারিদ্র্য বজায় থাকার কারণ (Causes of persistance of poverty in India) ভারতের দারিদ্র্য দূরীকরণ কর্মসূচি (Poverty alleviation programs in India)

ভারতে দারিদ্র্যতা (Poverty in India)     বেঁচে থাকার জন্য একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে কিছু পরিমাণ দ্রব্য সামগ্রী ভোগ করতে হবে। যে সমস্ত দ্রব্যসামগ্রী ভোগ করে কোন একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি দৈনিক 2250 ক্যালোরি পেতে পারে সেই পরিমাণ দ্রব্যসামগ্রীকে দারিদ্র্যের নিম্নতম মান হিসেবে ধরা হয়। বাজার থেকে এই সমস্ত দ্রব্য সামগ্রী কিনতে যা খরচ লাগে, টাকার অংকে সেটাই হলো নিম্নতম ভোগ ব্যয় এবং টাকার অঙ্কে এটাই হল দারিদ্র্য সীমার সংজ্ঞা। যে সমস্ত ব্যক্তি এই পরিমাণ ভোগ ব্যয় করতে পারে না তাদেরই আমরা বলি দরিদ্র।  ভারতের পরিকল্পনা কমিশনের মতে 1960 থেকে 61 সালের মূল্যস্তর অনুযায়ী যেসব ব্যক্তির মাসিক ভোগ ব্যয় কুড়ি টাকার কম তারাই দারিদ্র্যসীমার নিচে আর যেসব ব্যক্তির মাসিক ভোগব্যয় কুড়ি টাকার অথবা তারও বেশি তারায দারিদ্র্যসীমার উপরে।এই হিসাবটি নিম্নতম মান অর্থাৎ 2250 ক্যালোরি সংগ্রহ করার জন্য যে ভোগ্যদ্রব্য ভোগ করতে হবে সেই হিসাব ধরেই করা হয়েছে।  ক্যালরির মাধ্যমে দারিদ্র্য পরিমাপকে জৈবিক দৃষ্টিভঙ্গি বলা হয়। অনেকেই এই দৃষ্টিভঙ্গি সমর্থন করেন না। তাদের বক্তব্য বিভিন্ন অঞ্চলের লোকেদের ...

ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা বা বাজার ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য ,গুণাবলী এবং ত্রুটি (Capitalist Economy)

ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা (Capitalist Economy) 

যে ব্যবস্থা মানুষের মৌলিক সমস্যা সমাধানের জন্য উপাদান সংগ্রহ ও বন্টনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে,তাকে বলে অর্থব্যবস্থা। 

অর্থব্যবস্থা কে মূলত দুটি ভাগে ভাগ করা যায় -

  1. ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা 
  2. সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা 


আমরা এখানে ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা বা বাজার ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য ,গুণাবলী এবং ত্রুটিগুলি আলোচনা করব । 


যে অর্থব্যবস্থায় সম্পত্তির উপর ব্যক্তিগত মালিকানা বজায় থাকে এবং যেখানে অবদানের ভিত্তিতে বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে দ্রব্য বন্টিত হয় এবং উৎপাদন বন্টন ইত্যাদির ক্ষেত্রে কোন সরকারি হস্তক্ষেপ থাকে না তাকেই ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা বলা হয়।


ধনতান্ত্রিক অর্থ ব্যবস্থা বা বাজার ব্যবস্থার মৌলিক বৈশিষ্ট্য গুলি সংক্ষেপে আলোচনা করা হল-


ব্যক্তিগত সম্পত্তি :- বাজার অর্থনীতির প্রধান বৈশিষ্ট্য হল সম্পত্তির ব্যক্তিগত মালিকানা অর্থাৎ ব্যক্তি জমি, বাড়ি, কলকারখানা, যন্ত্রপাতি এবং উৎপাদনের অন্যান্য উপাদানের মালিক হয়। 

উদ্যোগের স্বাধীনতা :- এই ধরনের অর্থনীতিতে প্রত্যেক ব্যক্তি  তার পছন্দমত উৎপাদনের ক্ষেত্র বা পেশা নির্বাচন করতে পারে। 

সর্বাধিক মুনাফা অর্জন - ধনতান্ত্রিক অর্থ ব্যবস্থায় উৎপাদনের যে সকল ক্ষেত্রে মুনাফা সর্বাধিক হয় উদ্যোক্তা সেই সমস্ত দ্রব্যই উৎপাদন করে অর্থাৎ মুনাফা অর্জনই হল এই ধরনের অর্থব্যবস্থার প্রধান উদ্দেশ্য। 

 ক্রেতার স্বাধীনতা - এই অর্থব্যবস্থায় ভোগকারী বা ক্রেতা ভোগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করে এবং  উৎপাদক সেই সকল দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদন করতে চায় যা ক্রেতারা ক্রয় করতে চায়। 

নিয়ন্ত্রণমুক্ত দাম ব্যবস্থা - এই অর্থব্যবস্থায়দাম মুনাফা প্রক্রিয়ার দ্বারা অর্থনৈতিক ক্রিয়া-কলাপ পরিচালিত হয়। সর্বাধিক মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে বাজারে যে  দ্রব্যের চাহিদা বেশি কেবলমাত্র সেই দ্রব্য উৎপাদিত হবে। চাহিদা বেশি হলে ক্রেতারা বেশি দাম দেবে ফলে উৎপাদকের মুনাফাও সর্বাধিক হবে। 


ধনতান্ত্রিক অর্থ ব্যবস্থার গুণাবলী 


দক্ষতা অনুযায়ী উৎপাদন - ধনতান্ত্রিক অর্থ ব্যবস্থায় উৎপাদন মুনাফা ব্যবস্থার ওপর প্রতিষ্ঠিত বলে দক্ষতা অনুযায়ী উৎপাদন হয়। যে সমস্ত দ্রব্য উৎপাদনে উদ্যোক্তার দক্ষতা বেশি সেই সব দ্রব্যসামগ্রী বেশি পরিমাণে উৎপাদিত হয় তাহলে উদ্যোক্তা লাভবান হয়।

উৎপাদক ও ভোগ কারী স্বাধীনতা -এই অর্থব্যবস্থায় উৎপাদক ও ভোগকারী নিজ নিজ ক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে। ফলে ক্রেতারা সর্বোচ্চ তৃপ্তি পেয়ে থাকে এবং উৎপাদকরাও পছন্দ অনুযায়ী দ্রব্য উৎপাদন করে মুনাফা সর্বোচ্চ করতে পারে।

স্বয়ংক্রিয় অর্থব্যবস্থা -  ধনতান্ত্রিক অর্থনীতি দাম ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালিত হয়। দাম ব্যবস্থাই  উৎপাদন, ভোগ, বিনিময়, বন্টন ইত্যাদি অর্থনৈতিক কাজ করে থাকে। 

নতুন উৎপাদন পদ্ধতি আবিষ্কার- বাজার অর্থনীতিতে প্রতিযোগিতা থাকার কারণে উৎপাদকরা অতিরিক্ত লাভের আশায় কম ব্যয়ে দ্রব্য উৎপাদনের চেষ্টা করে ফলে নতুন নতুন দ্রব্য বা নতুন নতুন উৎপাদন পদ্ধতির আবিষ্কার করতে থাকে। 

ন্যূনতম উৎপাদন ব্যয় -  উদ্যোগের স্বাধীনতা এবং অবাধ প্রতিযোগিতা থাকার জন্য উৎপাদকরা সর্বদাই সর্বনিম্ন ব্যয়ের মাধ্যমে উৎকৃষ্ট মানের দ্রব্য উৎপাদনের চেষ্টা করে। 


ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার দোষ বা ত্রুটি 


পুঁজিপতি শ্রেণীর উদ্ভব - ধণতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় অবাধ প্রতিযোগিতা থাকার কারণে উদ্যোক্তার সংখ্যা কমে গিয়ে শেষ পর্যন্ত মুষ্টিমেয় কিছু পুঁজিপতির উদ্ভব হয়। ফলে চড়া দাম, অতিরিক্ত মুনাফা উৎপাদন, ক্ষমতার অপূর্ণ ব্যবহার,সম্পদের অপচয় ইত্যাদি সমস্যা গুলি প্রকট হয়ে ওঠে। 

সামাজিক কল্যাণ উপেক্ষিত -  শুধুমাত্র মুনাফা অর্জনই প্রধান উদ্দেশ্য হওয়ার কারণে এই অর্থনীতিতে অনেক সময়  অনিষ্টকর দ্রব্য উৎপাদন করা হয়। এছাড়া বাজারে টিকে থাকার জন্য উৎপাদকরা অকাম্য প্রতিযোগিতায় যুক্ত থাকে ফলে সামাজিক কল্যাণ উপেক্ষিত হয়। 

ভোগকারীর স্বাধীনতা অনুপস্থিত - বাজার অর্থব্যবস্থায় ভোগকারীদের যে স্বাধীনতার কথা বলা হয় বাস্তবপক্ষে তা অনুপস্থিত। কারণ উৎপাদকরা বিভিন্ন বিজ্ঞাপন এবং প্রচারের মাধ্যমে ক্রেতাদের রুচি, পছন্দকে প্রভাবিত করে থাকে। 

আয়  সম্পদ বন্টনে বৈষম্য - সম্পদের ব্যক্তিগত মালিকানা বজায় থাকায় মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তির হাতেই  সম্পদ কেন্দ্রীভূত হয়। যেটা সামাজিক স্বার্থের দিক থেকে শুভ নয় । 



SUCCESS TUTORIAL

Kethopole uttar kastha danga, sarsuna kolkata - 700061

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

মোট উৎপাদন , গড় উৎপাদন ও প্রান্তিক উৎপাদনের মধ্যে সম্পর্ক আলোচনা করো। Economics bangla

  মোট উৎপাদন , গড় উৎপাদন ও প্রান্তিক উৎপাদনের মধ্যে সম্পর্ক আলোচনা করো।  উৎপাদন তত্ত্বে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ধারণা হল মোট উৎপাদন, গড় উৎপাদন ও প্রান্তিক উৎপাদন।    মোট উৎপাদন      নির্দিষ্ট পরিমাণ উপাদান ব্যবহার করে উৎপাদন প্রতিষ্ঠান যে পরিমাণ দ্রব্য উৎপাদন করতে পারে তাকে বলে মোট উৎপাদন।  গড় উৎপাদন   কোন উপাদানের গড় উৎপাদন হল ওই উপাদানের একক পিছু মোট  উৎপাদন অর্থাৎ কোন উপাদানের মোট উৎপাদনকে ওই উপাদান ব্যবহারের পরিমাণ দিয়ে ভাগ করলে যা পাওয়া যায় তাই হল গড় উৎপাদন।  প্রান্তিক উৎপাদন উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের কলাকৌশল বিষয়সমূহ স্থির রেখে এবং অন্যান্য সমস্ত উপাদানের নিয়োগ স্থির রেখে কোন উপাদানের নিয়োগ এক একক বাড়ালে বা কমালে উৎপাদন যে পরিমাণ পরিবর্তিত হয় তাকে বলে ওই উপাদানের প্রান্তিক উৎপাদন।  এই তিনটি ধারণার মধ্যে সম্পর্ক একটি সারণির মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা হল -   মোট উৎপাদন , গড় উৎপাদন ও প্রান্তিক উৎপাদনের মধ্যে সম্পর্ক  এখানে ধরা হচ্ছে উৎপাদন প্রতিষ্ঠান একটিমাত্র দ্রব্য উৎপাদন করছে এবং দ্রব্যটি উৎপাদনের জন্য দ...

রাশি তথ্য কাকে বলে? রাশি তথ্যের শ্রেণীবিভাগ/ রাশি তথ্যের বৈশিষ্ট্য/ গুণগত তথ্য/ সংখ্যাগত তথ্য/প্রাথমিক তথ্য /গৌণ তথ্য/ শ্রেণীবদ্ধ তথ্য/ অশ্রেণীবদ্ধ তথ্য (what is data?/ classification of data/ features of data /descriptive or qualitative data /quantitative data /primary data /secondary data/ grouped data and ungrouped data)

অনুসন্ধান কাজের জন্য সংগ্রহ করা তথ্য কে বলা হয় রাশি তথ্য বা সংখ্যা তথ্য । রাশিবিজ্ঞান বা পরিসংখ্যানের মূল উপাদানই হল তথ্য বা data ।গবেষক বিভিন্ন পদ্ধতি ও কৌশল অবলম্বন করে গবেষণা ক্ষেত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করে থাকেন।এই তথ্য ছাড়া সামাজিক, অর্থনৈতিক বা সাংস্কৃতিক যে কোন গবেষণা বা পরিমাপ করাই অসম্ভব।  এই তথ্যের কতকগুলি গুন বা বৈশিষ্ট্য হল - ১) তথ্য সাধারনত সংখ্যায় প্রকাশ করা হয় ।  ২) তথ্যসমূহ পরস্পর সম্পর্কযুক্ত হয়ে থাকে।  ৩) তথ্যসমূহ সংগ্রহের নির্দিষ্ট কিছু উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য থাকে । ৪) তথ্য পরিমাপযোগ্য বা অপরিমাপযোগ্য দুই হতে পারে।  তথ্যের শ্রেণীবিভাগ (classification of data)  তথ্যের প্রকৃতি অনুযায়ী  গুণগত  তথ্য qualitative data সংখ্যাগত  তথ্য quantitative data  তথ্য সংগ্রহের উৎস অনুযায়ী প্রাথমিক তথ্য primary data  গৌণ তথ্য secondary data তথ্য বিভাজন অনুযায়ী শ্রেণীবদ্ধ তথ্য grouped data   অশ্রেণীবদ্ধ তথ্য ungrouped data Qualitative data - যে সমস্ত তথ্য কোন গাণিতিক সংখ্যা দ্বারা প্রকাশ করা যায় না তাকে বলা হয় গুণগত তথ্য ।যে...

পরিসংখ্যান কাকে বলে?/পরিসংখ্যানের বৈশিষ্ট্য/ পরিসংখ্যানের গুরুত্ব ও কার্যাবলী/পরিসংখ্যানের সীমাবদ্ধতা (what is statistics?/characteristics or features of statistics/ limitation of statistics)

পরিসংখ্যান কাকে বলে?/পরিসংখ্যানের বৈশিষ্ট্য/ পরিসংখ্যানের গুরুত্ব ও কার্যাবলী/পরিসংখ্যানের সীমাবদ্ধতা (what is statistics?/characteristics or features of statistics/ limitation of statistics)  ইংরেজি statistics  শব্দের বাংলা রূপ হল পরিসংখ্যানবিদ্যা বা রাশিবিজ্ঞান। Statistics শব্দটি  ল্যাটিন শব্দ 'status' এবং  ইতালীয় শব্দ 'Statista' থেকে এসেছে।  বর্তমানে পরিসংখ্যান শব্দটি দুটি পৃথক অর্থে ব্যবহৃত হয় - ১) সংখ্যাগত তথ্য সমূহের সমাহার  (A collection of numerical data)  ২) তথ্য ব্যবহারের কৌশল  (A method of dealing with data)  সেই কারণেই বিভিন্ন সমাজতাত্ত্বিক, অর্থনীতিবিদ, এবং পরিসংখ্যানবিদগণ বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে পরিসংখ্যানকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন।  R. A. Fisher এর মতে পরিসংখ্যান হলো প্রয়োগিক বা ফলিত গণিতের একটি শাখা যা পর্যবেক্ষণ লব্ধ তথ্যের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়।  Croxton and cowden   এর মতে পরিসংখ্যান হলো সংখ্যা তথ্যের সংগ্রহ উপস্থাপন এবং ব্যাখ্যা করার বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা।  রাশিবিজ্ঞানী Seligman এ...

Statistics questions and answers (রাশি বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর) Measures of dispersion (বিস্তৃতির পরিমাপ) Economics questions and answers

Statistics questions and answers (রাশি বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর)  Measures of dispersion (বিস্তৃতির পরিমাপ)  Economics questions and answers ১ ) বিস্তৃতি (Dispersion) বলতে কী বোঝো ?  রাশি তথ্যে প্রকাশিত চলকের বিভিন্ন মান গুলি তাদের কেন্দ্রীয় মান বা গড় মান থেকে কি পরিমান ছড়িয়ে বা প্রসারিত হয়ে থাকে তাকে বলে বিস্তৃতি । ২ ) বিস্তৃতির পরিমাপ (measures of dispersion) কাকে বলে? যে সংখ্যাগত পরিমাপের মাধ্যমে রাশি তথ্যে প্রকাশিত একটি চলকের বিভিন্ন মান গুলি তাদের কেন্দ্রীয় মান বা গড় মান থেকে কি পরিমানে বিস্তৃত তা প্রকাশ করা হয় তাকে বলে বিস্তৃতির পরিমাপ।  ৩) বিস্তৃতির পরিমাপকের প্রক্রিয়াকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কি কি ? বিস্তৃতির পরিমাপকের প্রক্রিয়াকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়-  পরম পরিমাপ (Absolute measure )   আপেক্ষিক পরিমাপ (Relative measure)   ৪) বিস্তৃতির  পরম পরিমাপ পদ্ধতি (Absolute measure of dispersion)  কয় প্রকার ও কি কি ?  বিস্তৃতির পরম পরিমাপ পদ্ধতি চার প্রকারের।  পরিসর (Range)  গড় ব্যবধান (Mean ...

ব্যষ্টিগত অর্থনীতি ও সমষ্টিগত অর্থনীতির পার্থক্য (Difference between Microeconomics and Macroeconomics)

ব্যষ্টিগত অর্থনীতি ও সমষ্টিগত অর্থনীতির পার্থক্য  (Difference between Microeconomics and Macroeconomics)  ব্যষ্টিগত অর্থনীতি - অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ক্ষুদ্রতর অংশগুলির অর্থনৈতিক তত্ত্ব ও অর্থব্যবস্থার কার্যধারাকে বিশ্লেষণ করা হয় যে অর্থনীতিতে তাকে বলা হয় ব্যষ্টিগত অর্থনীতি । সমষ্টিগত অর্থনীতি - যে অর্থনীতিতে অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সামগ্রিক দিক পর্যালোচনা করা হয় তাকে বলে সমষ্টিগত অর্থনীতি । পার্থক্য - 1)   ব্যষ্টিগত অর্থনীতিতে অর্থব্যবস্থার ক্ষুদ্রতর অংশগুলির অর্থনৈতিক তত্ত্ব ও অর্থব্যবস্থার কার্যধারাকে বিশ্লেষণ করা হয়, অন্যদিকে সমষ্টিগত অর্থনীতিতে অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সামগ্রিক দিক পর্যালোচনা করা হয়।  2) ব্যষ্টিগত অর্থনীতির চাহিদার দিকের উদ্দেশ্য হল উপযোগিতা সর্বোচ্চ করা এবং যোগানের দিকের উদ্দেশ্য হল কম ব্যয় দ্রব্য উৎপাদন করে মুনাফা সর্বোচ্চ করা। অন্যদিকে সমষ্টিগত অর্থনীতির মূল উদ্দেশ্য হল পূর্ণ কর্মসংস্থান অর্জন , সাধারণ মূল্যস্তরের স্থিতিশীলতা বজায়, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং অনুকূল লেনদেন উদ্বৃত্ত। 3)  ব্যষ্টিগত  অর্থনীতি  আংশিক  ভারসাম্য বিশ্...

সমগ্রক ও নমুনার মধ্যে পার্থক্য লেখো। Mention the difference between population and sample. (Statistics questions and answers bangla)

সমগ্রক ও নমুনার মধ্যে পার্থক্য লেখো।  Mention the difference between population and sample.  সমগ্রক ও নমুনা দুটি স্বতন্ত্র ধারণা। ধারণা দুটি একটি অপরটির সাথে সম্পর্কিত। এই দুটি ধারনার মধ্যে কিছু পার্থক্য বিদ্যমান। সেগুলি হল - ১) গবেষণা কার্যে তথ্য সংগ্রহের জন্য গবেষক বা অনুসন্ধানকারী ব্যক্তি যে উপাদান গুলোকে মূল একক হিসেবে বেছে নেন তার সমষ্টিকে সমগ্রক বলে।            অপরপক্ষে নমুনা হল সমগ্রকের প্রতিনিধিত্বশীল একটি ক্ষুদ্র অংশ যেটা সমগ্রকের বৈশিষ্ট্য সমূহ প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়। ২) সমগ্রক হল গবেষণা কাজের সার্বিক বা মূল অংশ অন্যদিকে নমুনা হল সমগ্রক বা মূল অংশের একটি ক্ষুদ্র অংশ।  ৩) সমগ্রকের বৈশিষ্ট্যসূচক সংখ্যা মানকে parameter  বলা হয় অন্যদিকে নমুনার বৈশিষ্ট্যসূচক মানকে statistic বলা হয়।  ৪) সমগ্রকের  একক বা উপাদানের সংখ্যা সীমিত বা অসীম হতে পারে অন্যদিকে নমুনার একক বা উপাদানের সংখ্যা সসীম হয়ে থাকে। 

শুমারি জরিপ ও নমুনা জরিপের মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করো। Write the difference between Census and sample survey. (Statistics questions and answers bangla)

শুমারি জরিপ ও নমুনা জরিপের মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করো।  Write the difference between Census and sample survey.  তথ্য সংগ্রহের জন্য শুমারী জরিপ ও নমুনা জরিপ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। পদ্ধতি দুটির মধ্যে উদ্দেশ্যগত দিক থেকে তেমন কোন পার্থক্য না থাকলেও পদ্ধতিগত ,সময়, ব্যয়ভার, ব্যাপকতা প্রভৃতি দিক থেকে অনেক পার্থক্য রয়েছে । পার্থক্য গুলি হল - ১) শুমারী পদ্ধতিতে সমগ্রকের প্রতিটা একক থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয় অন্যদিকে নমুনা জরিপ পদ্ধতিতে সমগ্রকের প্রতিনিধিত্বকারী ক্ষুদ্র অংশকে নমুনা হিসেবে বাছাই করে তার ওপর তথ্য সংগ্রহ করা হয়।  ২) শুমারি জরিপে সময়, শ্রম ,অর্থ অনেক বেশি লাগে অন্যদিকে নমুনা জরিপে সময় ,শ্রম ও অর্থ কম লাগে।  ৩) শুমারী জরিপের ক্ষেত্র অনেক বড় হয় অপরপক্ষে নমুনা জরিপের ক্ষেত্র অপেক্ষাকৃত ছোট হয়।  ৪)শুমারী জরিপ তুলনামূলকভাবে কম বিজ্ঞানভিত্তিক অপরপক্ষে নমুনা জরিপ  একটি বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি। ৫)প্রধানত লোকগণনার ক্ষেত্রে শুমারী পদ্ধতি অনেক বেশি ব্যবহার করা হয় অপরপক্ষে যে কোন গবেষণার জন্য নমুনা জরিপ অনেক বেশি উপযোগী ।

GNP and NNP - স্থূল জাতীয় উৎপাদন বা মোট জাতীয় উৎপাদন ও নীট জাতীয় উৎপাদন - Economics Bangla

GNP and NNP - স্থূল জাতীয় উৎপাদন বা মোট জাতীয় উৎপাদন ও নীট জাতীয় উৎপাদন GNP   - কোন দেশে একটি নির্দিষ্ট সময়ে (সাধারণত এক বছর) যে পরিমাণ দ্রব্য ও সেবা সৃষ্টি হয় তার অর্থমূল্যের যোগফল কে মোট জাতীয় উৎপাদন (GNP) বলে।  NNP - মোট জাতীয় উৎপাদন থেকে ওই বছরের মূলধনের যে ক্ষয়ক্ষতি বা অবচয় হয় তা বাদ দিলে যা পাওয়া যায় তাকে বলে নীট জাতীয় উৎপাদন। স্থূল জাতীয় উৎপাদন বা মোট জাতীয় উৎপাদন ও নীট জাতীয় উৎপাদনের মধ্যে সম্পর্ক  Relation between Gross National Product and Net National Product কোন দেশে একটি নির্দিষ্ট সময়ে (সাধারণত এক বছর) যে পরিমাণ দ্রব্য সেবা সৃষ্টি হয় তার অর্থ মূল্যের যোগফলই হল স্থূলজাতীয় উৎপাদন।দেশটি যদি বৈদেশিক বাণিজ্য করে তাহলে স্থুল জাতীয় উৎপাদন হিসেবের সময় বিদেশের কাছে দেশটির পাওনা যোগ করতে হয় এবং দেশটির কাছে বিদেশের পাওনা বিয়োগ করতে হয়। উৎপাদন কাজ চলাকালে মূলধনী দ্রব্য যেমন যন্ত্রপাতির ক্ষয় হয় এবং মূলধনী দ্রব্যের মূল্য কমতে থাকে। স্থূল জাতীয় উৎপাদন থেকে ওই বছরের মূলধনের যে ক্ষতি বা অপচয় হয় তা বাদ দিলে যা পাওয়া যায় তা হল নীট জাত...

অর্থনীতির সংজ্ঞা (Definition of Economics)

অর্থনীতির সংজ্ঞা  (Definition of Economics)  আধুনিক অর্থনীতির জনক অ্যাডাম স্মিথের মতে অর্থনীতি হল সম্পদের বিজ্ঞান।অ্যাডাম স্মিথের মতে , সম্পদের উৎপত্তির কারণ এবং তার বন্টন পদ্ধতিই হল অর্থনীতির মূল আলোচনার বিষয় । অধ্যাপক মার্শালের মতে, মানুষের দৈনন্দিন জীবনের যে অংশটুকুর সঙ্গে অর্থ উপার্জন ও উপার্জিত অর্থের ব্যয়ের সম্পর্কযুক্ত তা নিয়ে আলোচনা করা যে  শাস্ত্রের কাজ  , তাই হল অর্থনীতি।  অধ্যাপক Cairncross - এর মতে অর্থনীতি হল, একটি সমাজ বিজ্ঞান এবং অর্থনীতির আলোচ্য বিষয় হল , মানুষ কিভাবে বিনিময়ের মাধ্যমে তার অভাব ও সীমিত উপকরণের মধ্যে সামঞ্জস্য সাধন করে সেটি ব্যাখ্যা করা।  সুতরাং উপরের আলোচনা থেকে দেখা যাচ্ছে যে অর্থনীতির সম্পূর্ণ গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা দেওয়া খুবই কঠিন। অর্থনীতি যেহেতু একটি গতিশীল বিষয় তাই সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নতুন সংজ্ঞার প্রয়োজন হয়। এই গতিশীলতাই অর্থনীতির বিষয়বস্তু এবং পরিধির পরিবর্তন ঘটাতে সাহায্য করে। 

স্থির ব্যয় (Fixed cost) ও পরিবর্তনশীল ব্যয়ের (Variable cost) মধ্যে পার্থক্য আলোচনা করো।

  স্বল্পকালে কোন শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ব্যয় কে দুটি ভাগে ভাগ করা যায় - 1) স্থির ব্যয় ও 2) পরিবর্তনশীল ব্যয়।  স্থির ব্যয় - যে ব্যয়ের পরিমাণ উৎপাদনের পরিমাণের ওপর নির্ভর করে না,উৎপাদনের পরিমাণ বাড়লে বা কমলে যে ব্যয় একই থাকে তাকে বলে স্থির ব্যয়। পরিবর্তনীয় ব্যয় -  উৎপাদনের পরিমাণ পরিবর্তনের সাথে সাথে যে ব্যয় পরিবর্তিত হয় তাকে বলে পরিবর্তনীয় ব্যয় । স্থির ব্যয়  ও পরিবর্তনশীল ব্যয়ের মধ্যে পার্থক্য গুলি হল - 1) স্থির  ব্যয়ের পরিমাণ উৎপাদনের পরিমাণের উপর নির্ভর করে না উৎপাদনের পরিমাণ বাড়লে বা কমলে এই ব্যয় একই থাকে।  অন্যদিকে পরিবর্তনীয় ব্যয়ের পরিমাণ উৎপাদনের পরিমাণের উপর নির্ভর করে ।উৎপাদনের পরিমাণ পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিবর্তনীয় ব্যয় পরিবর্তিত হয়।  2)স্থির উপাদান নিয়োগ করতে যে ব্যয় হয় তা হল স্থির ব্যয় ।  অন্যদিকে পরিবর্তনীয় উপাদান নিয়োগ করতে যে ব্যয় হয় তা হল পরিবর্তনীয় ব্যয় । 3) মোট উৎপাদন শূন্য হলেও স্থির ব্যয় মেটাতে হয়। অন্যদিকে, উৎপাদনের পরিমাণ শূন্য হলে পরিবর্তনীয় ব্যয়ও শূন্য হবে।  4)স্থির ব্যয় কেবলম...