সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ভারতে দারিদ্র্যতা (Poverty in India) ভারতে দারিদ্র্য বজায় থাকার কারণ (Causes of persistance of poverty in India) ভারতের দারিদ্র্য দূরীকরণ কর্মসূচি (Poverty alleviation programs in India)

ভারতে দারিদ্র্যতা (Poverty in India)     বেঁচে থাকার জন্য একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে কিছু পরিমাণ দ্রব্য সামগ্রী ভোগ করতে হবে। যে সমস্ত দ্রব্যসামগ্রী ভোগ করে কোন একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি দৈনিক 2250 ক্যালোরি পেতে পারে সেই পরিমাণ দ্রব্যসামগ্রীকে দারিদ্র্যের নিম্নতম মান হিসেবে ধরা হয়। বাজার থেকে এই সমস্ত দ্রব্য সামগ্রী কিনতে যা খরচ লাগে, টাকার অংকে সেটাই হলো নিম্নতম ভোগ ব্যয় এবং টাকার অঙ্কে এটাই হল দারিদ্র্য সীমার সংজ্ঞা। যে সমস্ত ব্যক্তি এই পরিমাণ ভোগ ব্যয় করতে পারে না তাদেরই আমরা বলি দরিদ্র।  ভারতের পরিকল্পনা কমিশনের মতে 1960 থেকে 61 সালের মূল্যস্তর অনুযায়ী যেসব ব্যক্তির মাসিক ভোগ ব্যয় কুড়ি টাকার কম তারাই দারিদ্র্যসীমার নিচে আর যেসব ব্যক্তির মাসিক ভোগব্যয় কুড়ি টাকার অথবা তারও বেশি তারায দারিদ্র্যসীমার উপরে।এই হিসাবটি নিম্নতম মান অর্থাৎ 2250 ক্যালোরি সংগ্রহ করার জন্য যে ভোগ্যদ্রব্য ভোগ করতে হবে সেই হিসাব ধরেই করা হয়েছে।  ক্যালরির মাধ্যমে দারিদ্র্য পরিমাপকে জৈবিক দৃষ্টিভঙ্গি বলা হয়। অনেকেই এই দৃষ্টিভঙ্গি সমর্থন করেন না। তাদের বক্তব্য বিভিন্ন অঞ্চলের লোকেদের ...

ভারতে দারিদ্র্যতা (Poverty in India) ভারতে দারিদ্র্য বজায় থাকার কারণ (Causes of persistance of poverty in India) ভারতের দারিদ্র্য দূরীকরণ কর্মসূচি (Poverty alleviation programs in India)


ভারতে দারিদ্র্যতা (Poverty in India) 

 বেঁচে থাকার জন্য একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে কিছু পরিমাণ দ্রব্য সামগ্রী ভোগ করতে হবে। যে সমস্ত দ্রব্যসামগ্রী ভোগ করে কোন একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি দৈনিক 2250 ক্যালোরি পেতে পারে সেই পরিমাণ দ্রব্যসামগ্রীকে দারিদ্র্যের নিম্নতম মান হিসেবে ধরা হয়। বাজার থেকে এই সমস্ত দ্রব্য সামগ্রী কিনতে যা খরচ লাগে, টাকার অংকে সেটাই হলো নিম্নতম ভোগ ব্যয় এবং টাকার অঙ্কে এটাই হল দারিদ্র্য সীমার সংজ্ঞা। যে সমস্ত ব্যক্তি এই পরিমাণ ভোগ ব্যয় করতে পারে না তাদেরই আমরা বলি দরিদ্র। 

ভারতের পরিকল্পনা কমিশনের মতে 1960 থেকে 61 সালের মূল্যস্তর অনুযায়ী যেসব ব্যক্তির মাসিক ভোগ ব্যয় কুড়ি টাকার কম তারাই দারিদ্র্যসীমার নিচে আর যেসব ব্যক্তির মাসিক ভোগব্যয় কুড়ি টাকার অথবা তারও বেশি তারায দারিদ্র্যসীমার উপরে।এই হিসাবটি নিম্নতম মান অর্থাৎ 2250 ক্যালোরি সংগ্রহ করার জন্য যে ভোগ্যদ্রব্য ভোগ করতে হবে সেই হিসাব ধরেই করা হয়েছে। 

ক্যালরির মাধ্যমে দারিদ্র্য পরিমাপকে জৈবিক দৃষ্টিভঙ্গি বলা হয়। অনেকেই এই দৃষ্টিভঙ্গি সমর্থন করেন না। তাদের বক্তব্য বিভিন্ন অঞ্চলের লোকেদের ক্যালোরির প্রয়োজন এক রকম নয়।তাছাড়া খাদ্যদ্রব্য ছাড়া এমনও অনেক জিনিস আছে যেগুলি জীবনধারনের ন্যূনতম প্রয়োজনের অন্তর্গত। সেগুলি এই দৃষ্টিভঙ্গিতে ধরা হয়নি। 


ভারতে দারিদ্র্য বজায় থাকার কারণ

(Causes of persistance of poverty in India) 

বিভিন্ন কারণে ভারতে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা সত্ত্বেও দারিদ্র্য দূরীভূত করা সম্ভব হয়নি। সেগুলি হল- 

বেকারত্ব 

দারিদ্র্যের প্রধান কারণ বেকারত্ব। ভারতের মতো স্বল্প উন্নত দেশে বেকার সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করেছে এবং এই বেকার সমস্যাই দারিদ্র্যের প্রধান কারণ। সরকার পরিকল্পনার প্রথম দিকে দারিদ্র দূরীকরণের জন্য কোন প্রত্যক্ষ কর্মসূচি গ্রহণ করেননি। আগে মনে করা হতো যে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ করলে জাতীয় আয় বৃদ্ধি পাবে এবং তার সাথে সাথে দারিদ্র্যের সমস্যা ও দূর হবে । কিন্তু অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে যে জাতীয় আয়ের বৃদ্ধির সাথে সাথে দারিদ্র্য দূর হচ্ছে না বরঞ্চ দারিদ্ররেখার নিচে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মুদ্রাস্ফীতি 

অপর একটি বিষয় দারিদ্র্যের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে সেটি হল ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ।দাম স্তর ক্রমাগত বাড়তে থাকায় জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতা কমে আসছে। নিম্ন আয়ের ব্যক্তিদের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে এবং দারিদ্র্যসীমার নিচে জনসংখ্যার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। 

জনসংখ্যা বৃদ্ধি

জনসংখ্যা বৃদ্ধিকেও দারিদ্র্যের আরেকটি কারণ হিসেবে ধরা দিতে পারে। ভারতের জাতীয় আয় পরিকল্পনাকালে বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু তার সাথে সাথে জনসংখ্যা যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। তার ফলে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে খুবই সামান্য। এই জন্য দারিদ্র্যতা রয়ে গেছে।

শিল্পরগ্নতা

শিল্পক্ষেত্রে রুগ্নতা ও দারিদ্র্যের সমস্যার জন্য দায়ী শিল্পক্ষেত্রে রুগ্নতার জন্য শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়ছে। এর ফলে বেকার সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করছে এবং দারিদ্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ত্রুটিপূর্ণ কর ব্যবস্থা 

ভারতের কর রাজস্বের বিরাট অংশ সংগ্রহ হয় পরোক্ষ কর থেকে। যার বোঝা মূলত বহন করে দেশের দরিদ্র জনসাধারণ ।ফলে দরিদ্র ব্যক্তিদের দারিদ্র্য আরও বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে ।

সরকারি ক্ষেত্রে ব্যর্থতা 

ভারতের নিদারুন দারিদ্র্যের আরেকটি কারণ হল সরকারি ক্ষেত্রের ব্যর্থতা ।ভারতের সরকারি ক্ষতির পরিমাণই বেশি। অপরদিকে সরকারি ক্ষেত্রে এই ব্যর্থতার সুযোগ নিয়েছে বেসরকারি ক্ষেত্র।বেসরকারি ক্ষেত্র গুলির জনস্বার্থে বিরোধী আচরণ ও দারিদ্র্যের জন্য অনেকাংশ দায়ী ।ভারতের ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের অসংযত লোভ, কর ফাঁকি, ব্যাপক ভেজাল, ফাটকা কারবারি, দারিদ্র্যের সমস্যা কে ভয়াবহ করে তুলেছে। 


ভারতের দারিদ্র্য দূরীকরণ কর্মসূচি

(Poverty alleviation programs in India) 

ভারতে দারিদ্র দূরীকরণের জন্য প্রথম চারটি পরিকল্পনায় বিশেষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। কারণ পরিকল্পনাগুলিতে মনে করা হয়েছিল যে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সাথে দরিদ্র জনসংখ্যার পরিমাণ কমে আসবে এবং দারিদ্রতা হ্রাস পাবে। কিন্তু অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে যে প্রতিটি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় দরিদ্র জনসংখ্যার পরিমাণ বেড়েই চলেছে। সেই জন্য পঞ্চম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা থেকে দারিদ্র দূরীকরণের জন্য বিশেষ কতকগুলি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। 1971 সালের সংসদীয় নির্বাচনের আগে 'গরিবি হটাও' স্লোগান দেওয়া হয় এবং সেই সময় পঞ্চম পরিকল্পনা তে সর্বপ্রথম দারিদ্র্যের কারণ নির্ধারণ এবং দারিদ্র দূরীকরণের জন্য নির্দিষ্ট কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।পঞ্চম পরিকল্পনার সময়ে দেশে দরিদ্র লোকেদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য নূন্যতম প্রয়োজন পূরণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এই প্রকল্পের মধ্যে ছিল প্রাথমিক শিক্ষা, জনস্বাস্থ্য ,গ্রামাঞ্চলের চিকিৎসা সুযোগ, পুষ্টি বৃদ্ধির সমস্যা, বস্তি উন্নয়ন, গ্রামের রাস্তা উন্নয়ন প্রভৃতি। 

পঞ্চম পরিকল্পনা থেকে দারিদ্র দূরীকরণের জন্য লক্ষ্য ভিত্তিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি গুলি আলোচনা করা হলো।

 Integrated rural development program (IRDP) 

গ্রামাঞ্চলে দারিদ্র দূর করার জন্য ১৯৬৭ থেকে ৭৭ সালে সুসংহত গ্রামীণ উন্নয়ন কর্মসূচি চালু করা হয়। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হল ঋণ ও ভর্তুকির মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলের দরিদ্রতম পরিবারগুলিকে সাহায্য করা। এই কর্মসূচির কৌশল হল গ্রামাঞ্চলে দরিদ্র ব্যক্তিদের আয় সৃষ্টিকারী সম্পদের মাধ্যমে স্বনিযুক্তির ব্যবস্থা করা। 

National Rural Employment programme(NREP) 

গ্রামাঞ্চলে দারিদ্র দূর করার জন্য 1980 সালে জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান কর্মসূচি চালু করা হয় ।এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য ছিল গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র জনসাধারণের মজুরী ভিত্তিক অতিরিক্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। এর সঙ্গে স্থায়ী সম্পদ সৃষ্টির ব্যবস্থা করা এবং গ্রামাঞ্চলে জনসাধারণের জীবন যাপনের গুণগত মানের উন্নতি ঘটানো ।প্রকৃতপক্ষে বনসম্পদ, মৃত্তিকা সংরক্ষণ ব্যবস্থা, তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য নির্মাণ কাজ, বিদ্যালয়, রাস্তাঘাট, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ইত্যাদির মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলে স্থায়ী সম্পদ সৃষ্টি ছিল ওই কর্মসূচির কৌশলগত দিক।

Scheme for self employment to the educated urban youth (SEEUY) 

শহরাঞ্চলের দারিদ্র দূর করার জন্য 1983 থেকে 84 সালে শহরের শিক্ষিত যুবকদের জন্য 

স্বনিয়োজিত কর্মসংস্থান প্রকল্প চালু করা হয়।এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল ঋণ ও ভর্তুকির সাহায্যে শহরাঞ্চলের শিক্ষিত যুবকদের স্ব -নিয়োজিত কর্মসংস্থানে উৎসাহ দেওয়া। এই প্রকল্পে ঠিক করা হয় ব্যাংক শিক্ষিত যুবকদের যে পরিমাণ ঋণ দেবে তার 25 শতাংশ কেন্দ্রীয় সরকার ভর্তুকি হিসেবে দিয়ে থাকবে।

 Jawahar Rojgar Yojana (JRY) 

গ্রামাঞ্চলে দারিদ্র দূর করার জন্য NREP ও RLEGP এই দুটি প্রকল্পের সংযুক্তি ঘটিয়ে 1989 সালে জওহর রোজগার যোজনা নামে একটি গ্রামীণ কর্মসূচি শুরু করা হয়। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হল গ্রামাঞ্চলের বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী ব্যক্তিদের সুযোগ-সুবিধার দেওয়ার উদ্দেশ্যে উৎপাদনশীল সামাজিক সম্পদ সৃষ্টি ও জীবনের গুণগত মান উন্নয়ন।

Swarna Jayanti shohure Rojgar Yojana (SJSRY) . 

শহরাঞ্চলে দারিদ্র দূর করার জন্য 1997 সালের স্বর্ণ জয়ন্তী শহুরে রোজগার যোজনা প্রবর্তিত হয়। প্রকল্পের পূর্বে প্রচলিত তিনটি প্রকল্প নেহেরু রোজগার যোজনা,শহরের দরিদ্রদের জন্য প্রাথমিক পরিসেবা এবং প্রধানমন্ত্রীর সুসংহত শহরাঞ্চলের দারিদ্র দূরীকরণ প্রকল্প একত্রিত করা হয়। এই কর্মসূচির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল শহরাঞ্চলের বেকার ও অর্ধ বেকারদের জন্য এবং নবম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্যস্ব নিয়োজিত কর্মসংস্থান বা মজুরী ভিত্তিক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। 

Swarna Jayanti gram swarojgar Yojana (SGSY) 

গ্রামাঞ্চলে দারিদ্র দূর করার জন্য 1999 সালে স্বর্ণ জয়ন্তী গ্রাম স্বরোজগার যোজনা প্রবর্তন করা হয়।এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে, সুসংহত গ্রামীণ উন্নয়ন কর্মসূচি (IRDP), গ্রামাঞ্চলে যুবকদের স্বনিয়োজিত কর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষণ (TRYSEM) , গ্রামাঞ্চলে মহিলা ও শিশুদের অবস্থার উন্নয়নের জন্য প্রকল্প(DWCRA) এবং 10 লক্ষ কূপ খনন প্রকল্প (MWS) ।এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল ব্যাংক ঋণ ও সরকারি ভর্তুকির সাহায্যে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী গ্রামাঞ্চলের পরিবারগুলিকে সাহায্য প্রদান। 

INDIRA AWAAS YOJANA (IAY) 

গ্রামাঞ্চলে দারিদ্র দূরীকরণের উদ্দেশ্যে 1999 থেকে 2000 সালে ইন্দিরা আবাস যোজনা চালু করা হয়। এই যোজনার উদ্দেশ্য হল গ্রামাঞ্চলে দরিদ্র জনসাধারণের গৃহ সমস্যার সমাধানের জন্য বিনা ব্যয়ে দরিদ্র মানুষকে গৃহ প্রদান করা। 

PRADHAN MANTRI GRAMODYA YOJANA(PMGY) 

গ্রামাঞ্চলে দারিদ্র দূরীকরণের জন্য 1999 থেকে 2000 সালে প্রধানমন্ত্রী গ্রামোদয় যোজনা চালু করা হয়। উদ্দেশ্য হল গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী জনসাধারণের মান উন্নয়ন অর্জন করার জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্য, প্রাথমিক শিক্ষা ,গ্রামীন বাসস্থান, গ্রামীণ পানীয় জল সরবরাহ, পুষ্টি এবং গ্রামীন বৈদ্যুতিকরণ। এই ছয়টি ক্ষেত্রের উপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকার সাহায্য করে থাকে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে। 

The National Rural Employment Guarantee scheme (NREGS

গ্রামাঞ্চলে দারিদ্র দূরীকরণের জন্য 2006 সালে জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্প প্রবর্তন করা হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে সর্বাপেক্ষা অনগ্রসর 200 টি জেলায় এই প্রকল্প চালু করা হয়। পরবর্তীকালে 2007 থেকে 2008 সালের মধ্যে এই প্রকল্প 330 টি জেলায় সম্প্রসারিত করা হয়। 2008 থেকে 2009 সালে এই প্রকল্প সমস্ত গ্রামীণ জেলাগুলিতেই সম্প্রসারিত করা হয়েছে। 

Mahatma Gandhi National Rural Employment Guarantee scheme (MGNREGS) 

 এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলে দরিদ্র জনসাধারণের পরিবারগুলির জীবিকার নিশ্চয়তার জন্য প্রতিটি দরিদ্র পরিবারকে প্রতিবছর কমপক্ষে 100 দিনের মজুরীভিত্তিক কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়। যার সাবালক সদস্য স্বেচ্ছায় অদক্ষ শ্রমিকের পরিশ্রম করতে ইচ্ছুক। 2006 সালে ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচিত 200 টি জেলায় প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্প চালু করা হয়। 2008 সালের এপ্রিল মাস থেকে এই প্রকল্প সমগ্র দেশে কার্যকর করা হয়। 


ভারতে দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য গৃহীত সরকারি নীতির মূল্যায়ন। 

Evaluation of the poverty eradication policy adopted by the government in India. 

পরিকল্পনার প্রথম যুগে চতুর্থ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা(1969-1974) পর্যন্ত পরিকল্পনা কমিশন ও সরকার অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র দূরীকরণের নীতি গ্রহণ করে। পঞ্চম পঞ্চবার্ষিকীপরিকল্পনা থেকে এই নীতির পরিবর্তন করে দারিদ্র দূরীকরণের জন্য বিশেষ কতগুলি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় এবং দারিদ্র দূরীকরণের জন্য লক্ষ্যভিত্তিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় ।এই কর্মসূচির প্রচেষ্টা সংখ্যাগত ভাবে কিন্তু কম নয় এবং এই সমস্ত প্রচেষ্টার উদ্দেশ্য খুবই মহৎ এবং সরকার কর্তৃক দারিদ্র দূরীকরণের ব্যবস্থা গুলোর কোন সুফল ই দরিদ্ররা পায় না একথা বলা যায় না।কিছু উদ্দেশ্য সফল হয়েছে কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় তা নগণ্য। প্রকৃতপক্ষে ভারতে দারিদ্র দূরীকরণের কর্মসূচি যে সম্পূর্ণভাবে সফল হয়নি তা ভারতের দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী জনসংখ্যার হিসাব থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়। ভারতে দারিদ্র দূরীকরণের কর্মসূচিতে সফল হয়নি তা প্রমাণ পাওয়া যায় ইন্দিরা গান্ধী উন্নয়ন গবেষণা সংস্থার একটি রিপোর্টে। রিপোর্টে বলা হয় আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতে তিনজনের মধ্যে একজন গরীব এবং দুজন অপুষ্টিতে ভোগে যদি এর সঙ্গে যারা বিশুদ্ধ পানীয় জল পায় না, যাদের মাথার উপর ছাদ নেই, পরনে কাপড় জোটে না তাদের কথা ধরি তবে দারিদ্র্যের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পায়

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

মোট উৎপাদন , গড় উৎপাদন ও প্রান্তিক উৎপাদনের মধ্যে সম্পর্ক আলোচনা করো। Economics bangla

  মোট উৎপাদন , গড় উৎপাদন ও প্রান্তিক উৎপাদনের মধ্যে সম্পর্ক আলোচনা করো।  উৎপাদন তত্ত্বে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ধারণা হল মোট উৎপাদন, গড় উৎপাদন ও প্রান্তিক উৎপাদন।    মোট উৎপাদন      নির্দিষ্ট পরিমাণ উপাদান ব্যবহার করে উৎপাদন প্রতিষ্ঠান যে পরিমাণ দ্রব্য উৎপাদন করতে পারে তাকে বলে মোট উৎপাদন।  গড় উৎপাদন   কোন উপাদানের গড় উৎপাদন হল ওই উপাদানের একক পিছু মোট  উৎপাদন অর্থাৎ কোন উপাদানের মোট উৎপাদনকে ওই উপাদান ব্যবহারের পরিমাণ দিয়ে ভাগ করলে যা পাওয়া যায় তাই হল গড় উৎপাদন।  প্রান্তিক উৎপাদন উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের কলাকৌশল বিষয়সমূহ স্থির রেখে এবং অন্যান্য সমস্ত উপাদানের নিয়োগ স্থির রেখে কোন উপাদানের নিয়োগ এক একক বাড়ালে বা কমালে উৎপাদন যে পরিমাণ পরিবর্তিত হয় তাকে বলে ওই উপাদানের প্রান্তিক উৎপাদন।  এই তিনটি ধারণার মধ্যে সম্পর্ক একটি সারণির মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা হল -   মোট উৎপাদন , গড় উৎপাদন ও প্রান্তিক উৎপাদনের মধ্যে সম্পর্ক  এখানে ধরা হচ্ছে উৎপাদন প্রতিষ্ঠান একটিমাত্র দ্রব্য উৎপাদন করছে এবং দ্রব্যটি উৎপাদনের জন্য দ...

রাশি তথ্য কাকে বলে? রাশি তথ্যের শ্রেণীবিভাগ/ রাশি তথ্যের বৈশিষ্ট্য/ গুণগত তথ্য/ সংখ্যাগত তথ্য/প্রাথমিক তথ্য /গৌণ তথ্য/ শ্রেণীবদ্ধ তথ্য/ অশ্রেণীবদ্ধ তথ্য (what is data?/ classification of data/ features of data /descriptive or qualitative data /quantitative data /primary data /secondary data/ grouped data and ungrouped data)

অনুসন্ধান কাজের জন্য সংগ্রহ করা তথ্য কে বলা হয় রাশি তথ্য বা সংখ্যা তথ্য । রাশিবিজ্ঞান বা পরিসংখ্যানের মূল উপাদানই হল তথ্য বা data ।গবেষক বিভিন্ন পদ্ধতি ও কৌশল অবলম্বন করে গবেষণা ক্ষেত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করে থাকেন।এই তথ্য ছাড়া সামাজিক, অর্থনৈতিক বা সাংস্কৃতিক যে কোন গবেষণা বা পরিমাপ করাই অসম্ভব।  এই তথ্যের কতকগুলি গুন বা বৈশিষ্ট্য হল - ১) তথ্য সাধারনত সংখ্যায় প্রকাশ করা হয় ।  ২) তথ্যসমূহ পরস্পর সম্পর্কযুক্ত হয়ে থাকে।  ৩) তথ্যসমূহ সংগ্রহের নির্দিষ্ট কিছু উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য থাকে । ৪) তথ্য পরিমাপযোগ্য বা অপরিমাপযোগ্য দুই হতে পারে।  তথ্যের শ্রেণীবিভাগ (classification of data)  তথ্যের প্রকৃতি অনুযায়ী  গুণগত  তথ্য qualitative data সংখ্যাগত  তথ্য quantitative data  তথ্য সংগ্রহের উৎস অনুযায়ী প্রাথমিক তথ্য primary data  গৌণ তথ্য secondary data তথ্য বিভাজন অনুযায়ী শ্রেণীবদ্ধ তথ্য grouped data   অশ্রেণীবদ্ধ তথ্য ungrouped data Qualitative data - যে সমস্ত তথ্য কোন গাণিতিক সংখ্যা দ্বারা প্রকাশ করা যায় না তাকে বলা হয় গুণগত তথ্য ।যে...

পরিসংখ্যান কাকে বলে?/পরিসংখ্যানের বৈশিষ্ট্য/ পরিসংখ্যানের গুরুত্ব ও কার্যাবলী/পরিসংখ্যানের সীমাবদ্ধতা (what is statistics?/characteristics or features of statistics/ limitation of statistics)

পরিসংখ্যান কাকে বলে?/পরিসংখ্যানের বৈশিষ্ট্য/ পরিসংখ্যানের গুরুত্ব ও কার্যাবলী/পরিসংখ্যানের সীমাবদ্ধতা (what is statistics?/characteristics or features of statistics/ limitation of statistics)  ইংরেজি statistics  শব্দের বাংলা রূপ হল পরিসংখ্যানবিদ্যা বা রাশিবিজ্ঞান। Statistics শব্দটি  ল্যাটিন শব্দ 'status' এবং  ইতালীয় শব্দ 'Statista' থেকে এসেছে।  বর্তমানে পরিসংখ্যান শব্দটি দুটি পৃথক অর্থে ব্যবহৃত হয় - ১) সংখ্যাগত তথ্য সমূহের সমাহার  (A collection of numerical data)  ২) তথ্য ব্যবহারের কৌশল  (A method of dealing with data)  সেই কারণেই বিভিন্ন সমাজতাত্ত্বিক, অর্থনীতিবিদ, এবং পরিসংখ্যানবিদগণ বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে পরিসংখ্যানকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন।  R. A. Fisher এর মতে পরিসংখ্যান হলো প্রয়োগিক বা ফলিত গণিতের একটি শাখা যা পর্যবেক্ষণ লব্ধ তথ্যের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়।  Croxton and cowden   এর মতে পরিসংখ্যান হলো সংখ্যা তথ্যের সংগ্রহ উপস্থাপন এবং ব্যাখ্যা করার বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা।  রাশিবিজ্ঞানী Seligman এ...

Statistics questions and answers (রাশি বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর) Measures of dispersion (বিস্তৃতির পরিমাপ) Economics questions and answers

Statistics questions and answers (রাশি বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর)  Measures of dispersion (বিস্তৃতির পরিমাপ)  Economics questions and answers ১ ) বিস্তৃতি (Dispersion) বলতে কী বোঝো ?  রাশি তথ্যে প্রকাশিত চলকের বিভিন্ন মান গুলি তাদের কেন্দ্রীয় মান বা গড় মান থেকে কি পরিমান ছড়িয়ে বা প্রসারিত হয়ে থাকে তাকে বলে বিস্তৃতি । ২ ) বিস্তৃতির পরিমাপ (measures of dispersion) কাকে বলে? যে সংখ্যাগত পরিমাপের মাধ্যমে রাশি তথ্যে প্রকাশিত একটি চলকের বিভিন্ন মান গুলি তাদের কেন্দ্রীয় মান বা গড় মান থেকে কি পরিমানে বিস্তৃত তা প্রকাশ করা হয় তাকে বলে বিস্তৃতির পরিমাপ।  ৩) বিস্তৃতির পরিমাপকের প্রক্রিয়াকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কি কি ? বিস্তৃতির পরিমাপকের প্রক্রিয়াকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়-  পরম পরিমাপ (Absolute measure )   আপেক্ষিক পরিমাপ (Relative measure)   ৪) বিস্তৃতির  পরম পরিমাপ পদ্ধতি (Absolute measure of dispersion)  কয় প্রকার ও কি কি ?  বিস্তৃতির পরম পরিমাপ পদ্ধতি চার প্রকারের।  পরিসর (Range)  গড় ব্যবধান (Mean ...

ব্যষ্টিগত অর্থনীতি ও সমষ্টিগত অর্থনীতির পার্থক্য (Difference between Microeconomics and Macroeconomics)

ব্যষ্টিগত অর্থনীতি ও সমষ্টিগত অর্থনীতির পার্থক্য  (Difference between Microeconomics and Macroeconomics)  ব্যষ্টিগত অর্থনীতি - অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ক্ষুদ্রতর অংশগুলির অর্থনৈতিক তত্ত্ব ও অর্থব্যবস্থার কার্যধারাকে বিশ্লেষণ করা হয় যে অর্থনীতিতে তাকে বলা হয় ব্যষ্টিগত অর্থনীতি । সমষ্টিগত অর্থনীতি - যে অর্থনীতিতে অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সামগ্রিক দিক পর্যালোচনা করা হয় তাকে বলে সমষ্টিগত অর্থনীতি । পার্থক্য - 1)   ব্যষ্টিগত অর্থনীতিতে অর্থব্যবস্থার ক্ষুদ্রতর অংশগুলির অর্থনৈতিক তত্ত্ব ও অর্থব্যবস্থার কার্যধারাকে বিশ্লেষণ করা হয়, অন্যদিকে সমষ্টিগত অর্থনীতিতে অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সামগ্রিক দিক পর্যালোচনা করা হয়।  2) ব্যষ্টিগত অর্থনীতির চাহিদার দিকের উদ্দেশ্য হল উপযোগিতা সর্বোচ্চ করা এবং যোগানের দিকের উদ্দেশ্য হল কম ব্যয় দ্রব্য উৎপাদন করে মুনাফা সর্বোচ্চ করা। অন্যদিকে সমষ্টিগত অর্থনীতির মূল উদ্দেশ্য হল পূর্ণ কর্মসংস্থান অর্জন , সাধারণ মূল্যস্তরের স্থিতিশীলতা বজায়, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং অনুকূল লেনদেন উদ্বৃত্ত। 3)  ব্যষ্টিগত  অর্থনীতি  আংশিক  ভারসাম্য বিশ্...

সমগ্রক ও নমুনার মধ্যে পার্থক্য লেখো। Mention the difference between population and sample. (Statistics questions and answers bangla)

সমগ্রক ও নমুনার মধ্যে পার্থক্য লেখো।  Mention the difference between population and sample.  সমগ্রক ও নমুনা দুটি স্বতন্ত্র ধারণা। ধারণা দুটি একটি অপরটির সাথে সম্পর্কিত। এই দুটি ধারনার মধ্যে কিছু পার্থক্য বিদ্যমান। সেগুলি হল - ১) গবেষণা কার্যে তথ্য সংগ্রহের জন্য গবেষক বা অনুসন্ধানকারী ব্যক্তি যে উপাদান গুলোকে মূল একক হিসেবে বেছে নেন তার সমষ্টিকে সমগ্রক বলে।            অপরপক্ষে নমুনা হল সমগ্রকের প্রতিনিধিত্বশীল একটি ক্ষুদ্র অংশ যেটা সমগ্রকের বৈশিষ্ট্য সমূহ প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়। ২) সমগ্রক হল গবেষণা কাজের সার্বিক বা মূল অংশ অন্যদিকে নমুনা হল সমগ্রক বা মূল অংশের একটি ক্ষুদ্র অংশ।  ৩) সমগ্রকের বৈশিষ্ট্যসূচক সংখ্যা মানকে parameter  বলা হয় অন্যদিকে নমুনার বৈশিষ্ট্যসূচক মানকে statistic বলা হয়।  ৪) সমগ্রকের  একক বা উপাদানের সংখ্যা সীমিত বা অসীম হতে পারে অন্যদিকে নমুনার একক বা উপাদানের সংখ্যা সসীম হয়ে থাকে। 

শুমারি জরিপ ও নমুনা জরিপের মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করো। Write the difference between Census and sample survey. (Statistics questions and answers bangla)

শুমারি জরিপ ও নমুনা জরিপের মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করো।  Write the difference between Census and sample survey.  তথ্য সংগ্রহের জন্য শুমারী জরিপ ও নমুনা জরিপ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। পদ্ধতি দুটির মধ্যে উদ্দেশ্যগত দিক থেকে তেমন কোন পার্থক্য না থাকলেও পদ্ধতিগত ,সময়, ব্যয়ভার, ব্যাপকতা প্রভৃতি দিক থেকে অনেক পার্থক্য রয়েছে । পার্থক্য গুলি হল - ১) শুমারী পদ্ধতিতে সমগ্রকের প্রতিটা একক থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয় অন্যদিকে নমুনা জরিপ পদ্ধতিতে সমগ্রকের প্রতিনিধিত্বকারী ক্ষুদ্র অংশকে নমুনা হিসেবে বাছাই করে তার ওপর তথ্য সংগ্রহ করা হয়।  ২) শুমারি জরিপে সময়, শ্রম ,অর্থ অনেক বেশি লাগে অন্যদিকে নমুনা জরিপে সময় ,শ্রম ও অর্থ কম লাগে।  ৩) শুমারী জরিপের ক্ষেত্র অনেক বড় হয় অপরপক্ষে নমুনা জরিপের ক্ষেত্র অপেক্ষাকৃত ছোট হয়।  ৪)শুমারী জরিপ তুলনামূলকভাবে কম বিজ্ঞানভিত্তিক অপরপক্ষে নমুনা জরিপ  একটি বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি। ৫)প্রধানত লোকগণনার ক্ষেত্রে শুমারী পদ্ধতি অনেক বেশি ব্যবহার করা হয় অপরপক্ষে যে কোন গবেষণার জন্য নমুনা জরিপ অনেক বেশি উপযোগী ।

GNP and NNP - স্থূল জাতীয় উৎপাদন বা মোট জাতীয় উৎপাদন ও নীট জাতীয় উৎপাদন - Economics Bangla

GNP and NNP - স্থূল জাতীয় উৎপাদন বা মোট জাতীয় উৎপাদন ও নীট জাতীয় উৎপাদন GNP   - কোন দেশে একটি নির্দিষ্ট সময়ে (সাধারণত এক বছর) যে পরিমাণ দ্রব্য ও সেবা সৃষ্টি হয় তার অর্থমূল্যের যোগফল কে মোট জাতীয় উৎপাদন (GNP) বলে।  NNP - মোট জাতীয় উৎপাদন থেকে ওই বছরের মূলধনের যে ক্ষয়ক্ষতি বা অবচয় হয় তা বাদ দিলে যা পাওয়া যায় তাকে বলে নীট জাতীয় উৎপাদন। স্থূল জাতীয় উৎপাদন বা মোট জাতীয় উৎপাদন ও নীট জাতীয় উৎপাদনের মধ্যে সম্পর্ক  Relation between Gross National Product and Net National Product কোন দেশে একটি নির্দিষ্ট সময়ে (সাধারণত এক বছর) যে পরিমাণ দ্রব্য সেবা সৃষ্টি হয় তার অর্থ মূল্যের যোগফলই হল স্থূলজাতীয় উৎপাদন।দেশটি যদি বৈদেশিক বাণিজ্য করে তাহলে স্থুল জাতীয় উৎপাদন হিসেবের সময় বিদেশের কাছে দেশটির পাওনা যোগ করতে হয় এবং দেশটির কাছে বিদেশের পাওনা বিয়োগ করতে হয়। উৎপাদন কাজ চলাকালে মূলধনী দ্রব্য যেমন যন্ত্রপাতির ক্ষয় হয় এবং মূলধনী দ্রব্যের মূল্য কমতে থাকে। স্থূল জাতীয় উৎপাদন থেকে ওই বছরের মূলধনের যে ক্ষতি বা অপচয় হয় তা বাদ দিলে যা পাওয়া যায় তা হল নীট জাত...

অর্থনীতির সংজ্ঞা (Definition of Economics)

অর্থনীতির সংজ্ঞা  (Definition of Economics)  আধুনিক অর্থনীতির জনক অ্যাডাম স্মিথের মতে অর্থনীতি হল সম্পদের বিজ্ঞান।অ্যাডাম স্মিথের মতে , সম্পদের উৎপত্তির কারণ এবং তার বন্টন পদ্ধতিই হল অর্থনীতির মূল আলোচনার বিষয় । অধ্যাপক মার্শালের মতে, মানুষের দৈনন্দিন জীবনের যে অংশটুকুর সঙ্গে অর্থ উপার্জন ও উপার্জিত অর্থের ব্যয়ের সম্পর্কযুক্ত তা নিয়ে আলোচনা করা যে  শাস্ত্রের কাজ  , তাই হল অর্থনীতি।  অধ্যাপক Cairncross - এর মতে অর্থনীতি হল, একটি সমাজ বিজ্ঞান এবং অর্থনীতির আলোচ্য বিষয় হল , মানুষ কিভাবে বিনিময়ের মাধ্যমে তার অভাব ও সীমিত উপকরণের মধ্যে সামঞ্জস্য সাধন করে সেটি ব্যাখ্যা করা।  সুতরাং উপরের আলোচনা থেকে দেখা যাচ্ছে যে অর্থনীতির সম্পূর্ণ গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা দেওয়া খুবই কঠিন। অর্থনীতি যেহেতু একটি গতিশীল বিষয় তাই সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নতুন সংজ্ঞার প্রয়োজন হয়। এই গতিশীলতাই অর্থনীতির বিষয়বস্তু এবং পরিধির পরিবর্তন ঘটাতে সাহায্য করে। 

স্থির ব্যয় (Fixed cost) ও পরিবর্তনশীল ব্যয়ের (Variable cost) মধ্যে পার্থক্য আলোচনা করো।

  স্বল্পকালে কোন শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ব্যয় কে দুটি ভাগে ভাগ করা যায় - 1) স্থির ব্যয় ও 2) পরিবর্তনশীল ব্যয়।  স্থির ব্যয় - যে ব্যয়ের পরিমাণ উৎপাদনের পরিমাণের ওপর নির্ভর করে না,উৎপাদনের পরিমাণ বাড়লে বা কমলে যে ব্যয় একই থাকে তাকে বলে স্থির ব্যয়। পরিবর্তনীয় ব্যয় -  উৎপাদনের পরিমাণ পরিবর্তনের সাথে সাথে যে ব্যয় পরিবর্তিত হয় তাকে বলে পরিবর্তনীয় ব্যয় । স্থির ব্যয়  ও পরিবর্তনশীল ব্যয়ের মধ্যে পার্থক্য গুলি হল - 1) স্থির  ব্যয়ের পরিমাণ উৎপাদনের পরিমাণের উপর নির্ভর করে না উৎপাদনের পরিমাণ বাড়লে বা কমলে এই ব্যয় একই থাকে।  অন্যদিকে পরিবর্তনীয় ব্যয়ের পরিমাণ উৎপাদনের পরিমাণের উপর নির্ভর করে ।উৎপাদনের পরিমাণ পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিবর্তনীয় ব্যয় পরিবর্তিত হয়।  2)স্থির উপাদান নিয়োগ করতে যে ব্যয় হয় তা হল স্থির ব্যয় ।  অন্যদিকে পরিবর্তনীয় উপাদান নিয়োগ করতে যে ব্যয় হয় তা হল পরিবর্তনীয় ব্যয় । 3) মোট উৎপাদন শূন্য হলেও স্থির ব্যয় মেটাতে হয়। অন্যদিকে, উৎপাদনের পরিমাণ শূন্য হলে পরিবর্তনীয় ব্যয়ও শূন্য হবে।  4)স্থির ব্যয় কেবলম...