ভারতে দারিদ্র্যতা (Poverty in India) বেঁচে থাকার জন্য একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে কিছু পরিমাণ দ্রব্য সামগ্রী ভোগ করতে হবে। যে সমস্ত দ্রব্যসামগ্রী ভোগ করে কোন একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি দৈনিক 2250 ক্যালোরি পেতে পারে সেই পরিমাণ দ্রব্যসামগ্রীকে দারিদ্র্যের নিম্নতম মান হিসেবে ধরা হয়। বাজার থেকে এই সমস্ত দ্রব্য সামগ্রী কিনতে যা খরচ লাগে, টাকার অংকে সেটাই হলো নিম্নতম ভোগ ব্যয় এবং টাকার অঙ্কে এটাই হল দারিদ্র্য সীমার সংজ্ঞা। যে সমস্ত ব্যক্তি এই পরিমাণ ভোগ ব্যয় করতে পারে না তাদেরই আমরা বলি দরিদ্র। ভারতের পরিকল্পনা কমিশনের মতে 1960 থেকে 61 সালের মূল্যস্তর অনুযায়ী যেসব ব্যক্তির মাসিক ভোগ ব্যয় কুড়ি টাকার কম তারাই দারিদ্র্যসীমার নিচে আর যেসব ব্যক্তির মাসিক ভোগব্যয় কুড়ি টাকার অথবা তারও বেশি তারায দারিদ্র্যসীমার উপরে।এই হিসাবটি নিম্নতম মান অর্থাৎ 2250 ক্যালোরি সংগ্রহ করার জন্য যে ভোগ্যদ্রব্য ভোগ করতে হবে সেই হিসাব ধরেই করা হয়েছে। ক্যালরির মাধ্যমে দারিদ্র্য পরিমাপকে জৈবিক দৃষ্টিভঙ্গি বলা হয়। অনেকেই এই দৃষ্টিভঙ্গি সমর্থন করেন না। তাদের বক্তব্য বিভিন্ন অঞ্চলের লোকেদের ...
অর্থনীতির সংজ্ঞা
(Definition of Economics)
আধুনিক অর্থনীতির জনক অ্যাডাম স্মিথের মতে অর্থনীতি হল সম্পদের বিজ্ঞান।অ্যাডাম স্মিথের মতে , সম্পদের উৎপত্তির কারণ এবং তার বন্টন পদ্ধতিই হল অর্থনীতির মূল আলোচনার বিষয় ।
অধ্যাপক মার্শালের মতে, মানুষের দৈনন্দিন জীবনের যে অংশটুকুর সঙ্গে অর্থ উপার্জন ও উপার্জিত অর্থের ব্যয়ের সম্পর্কযুক্ত তা নিয়ে আলোচনা করা যে শাস্ত্রের কাজ , তাই হল অর্থনীতি।
অধ্যাপক Cairncross - এর মতে অর্থনীতি হল, একটি সমাজ বিজ্ঞান এবং অর্থনীতির আলোচ্য বিষয় হল , মানুষ কিভাবে বিনিময়ের মাধ্যমে তার অভাব ও সীমিত উপকরণের মধ্যে সামঞ্জস্য সাধন করে সেটি ব্যাখ্যা করা।
সুতরাং উপরের আলোচনা থেকে দেখা যাচ্ছে যে অর্থনীতির সম্পূর্ণ গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা দেওয়া খুবই কঠিন। অর্থনীতি যেহেতু একটি গতিশীল বিষয় তাই সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নতুন সংজ্ঞার প্রয়োজন হয়। এই গতিশীলতাই অর্থনীতির বিষয়বস্তু এবং পরিধির পরিবর্তন ঘটাতে সাহায্য করে।