ভারতে দারিদ্র্যতা (Poverty in India) বেঁচে থাকার জন্য একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে কিছু পরিমাণ দ্রব্য সামগ্রী ভোগ করতে হবে। যে সমস্ত দ্রব্যসামগ্রী ভোগ করে কোন একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি দৈনিক 2250 ক্যালোরি পেতে পারে সেই পরিমাণ দ্রব্যসামগ্রীকে দারিদ্র্যের নিম্নতম মান হিসেবে ধরা হয়। বাজার থেকে এই সমস্ত দ্রব্য সামগ্রী কিনতে যা খরচ লাগে, টাকার অংকে সেটাই হলো নিম্নতম ভোগ ব্যয় এবং টাকার অঙ্কে এটাই হল দারিদ্র্য সীমার সংজ্ঞা। যে সমস্ত ব্যক্তি এই পরিমাণ ভোগ ব্যয় করতে পারে না তাদেরই আমরা বলি দরিদ্র। ভারতের পরিকল্পনা কমিশনের মতে 1960 থেকে 61 সালের মূল্যস্তর অনুযায়ী যেসব ব্যক্তির মাসিক ভোগ ব্যয় কুড়ি টাকার কম তারাই দারিদ্র্যসীমার নিচে আর যেসব ব্যক্তির মাসিক ভোগব্যয় কুড়ি টাকার অথবা তারও বেশি তারায দারিদ্র্যসীমার উপরে।এই হিসাবটি নিম্নতম মান অর্থাৎ 2250 ক্যালোরি সংগ্রহ করার জন্য যে ভোগ্যদ্রব্য ভোগ করতে হবে সেই হিসাব ধরেই করা হয়েছে। ক্যালরির মাধ্যমে দারিদ্র্য পরিমাপকে জৈবিক দৃষ্টিভঙ্গি বলা হয়। অনেকেই এই দৃষ্টিভঙ্গি সমর্থন করেন না। তাদের বক্তব্য বিভিন্ন অঞ্চলের লোকেদের ...
ব্যষ্টিগত অর্থনীতি ও সমষ্টিগত অর্থনীতির পার্থক্য (Difference between Microeconomics and Macroeconomics)
ব্যষ্টিগত অর্থনীতি ও সমষ্টিগত অর্থনীতির পার্থক্য
(Difference between Microeconomics and Macroeconomics)
ব্যষ্টিগত অর্থনীতি - অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ক্ষুদ্রতর অংশগুলির অর্থনৈতিক তত্ত্ব ও অর্থব্যবস্থার কার্যধারাকে বিশ্লেষণ করা হয় যে অর্থনীতিতে তাকে বলা হয় ব্যষ্টিগত অর্থনীতি ।
সমষ্টিগত অর্থনীতি - যে অর্থনীতিতে অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সামগ্রিক দিক পর্যালোচনা করা হয় তাকে বলে সমষ্টিগত অর্থনীতি ।
পার্থক্য -
1) ব্যষ্টিগত অর্থনীতিতে অর্থব্যবস্থার ক্ষুদ্রতর অংশগুলির অর্থনৈতিক তত্ত্ব ও অর্থব্যবস্থার কার্যধারাকে বিশ্লেষণ করা হয়, অন্যদিকে সমষ্টিগত অর্থনীতিতে অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সামগ্রিক দিক পর্যালোচনা করা হয়।
2) ব্যষ্টিগত অর্থনীতির চাহিদার দিকের উদ্দেশ্য হল উপযোগিতা সর্বোচ্চ করা এবং যোগানের দিকের উদ্দেশ্য হল কম ব্যয় দ্রব্য উৎপাদন করে মুনাফা সর্বোচ্চ করা। অন্যদিকে সমষ্টিগত অর্থনীতির মূল উদ্দেশ্য হল পূর্ণ কর্মসংস্থান অর্জন , সাধারণ মূল্যস্তরের স্থিতিশীলতা বজায়, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং অনুকূল লেনদেন উদ্বৃত্ত।
3) ব্যষ্টিগত অর্থনীতি আংশিক ভারসাম্য বিশ্লেষনের উপর প্রতিষ্ঠিত। অপরদিকে সমষ্টিগত অর্থনীতি সামগ্রিক ভারসাম্য বিশ্লেষণের উপর প্রতিষ্ঠিত।
4) ব্যষ্টিগত অর্থনীতিতে কোন ব্যক্তির ভোগের সমস্যা, কোন উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত দ্রব্যের দাম নির্ধারণ, উপাদানের দাম নির্ধারণ, উৎপাদিত দ্রব্য বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে বন্টন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।অন্যদিকে সমষ্টিগত অর্থনীতিতে দেশের মোট উৎপাদন, দেশের মোট আয় অর্থাৎ জাতীয় আয়, দেশের মোট ভোগ ব্যয়, দেশের মোট বিনিয়োগ ব্যয়, দেশের মোট কর্মসংস্থান , সাধারণ মূল্যস্তর, অর্থের যোগান, ব্যাঙ্ক ব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
Success Tutorial
moumitagolden@gmail.com